জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। জমজমের পানির সাধারণ পানির তুলনায় অনেক বিশেষ গুন রয়েছে। সমস্ত মুসলমানদের জন্য জমজমের পানি পান করা একটি আবেগের বিষয়।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করবো। জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
তাছাড়া আরো আলোচনা করবো -জমজমের পানি কোথায় পাওয়া যায়, জমজম পানির দাম কত,জমজম কূপ দ্বিতীয় বার কে খনন করেছিলো, জমজমের পানি দিয়ে গোসল করা যাবে কি, জমজম কূপ কে আবিষ্কার করেছিলেন,মাসিকের সময় জমজমের পানি পান করা যাবে কি,জমজমের পানি গরম করা যাবে কি, জমজমের পানি কি দাঁড়িয়ে খেতে হয়, জমজমের পানির সাথে নরমাল পানি মেশানো যাবে কি, জমজমের পানি দিয়ে মুখ ধোঁয়া যাবে কি,জমজম পানি খাওয়ার দোয়া,জমজমের পানি কতদিন রাখা যায়।
পোস্ট সূচিপত্র - জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম সংশ্লিষ্ট সূচিপত্র
- জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
- জমজমের পানি কোথায় পাওয়া যায়
- জমজম পানির দাম কত
- জমজম কূপ দ্বিতীয় বার কে খনন করেছিলো
- জমজমের পানি দিয়ে গোসল করা যাবে কি
- জমজম কূপ কে আবিষ্কার করেছিলেন
- মাসিকের সময় জমজমের পানি পান করা যাবে কি
- জমজমের পানি গরম করা যাবে কি
- জমজমের পানি কি দাঁড়িয়ে খেতে হয়
- জমজমের পানির সাথে নরমাল পানি মেশানো যাবে কি
- জমজমের পানি দিয়ে মুখ ধোঁয়া যাবে কি
- জমজম পানি খাওয়ার দোয়া
- জমজমের পানি কতদিন রাখা যায়
- মন্তব্য
আরও পড়ুনঃ বিদেশ-যাওয়ার-সরকারি-এজেন্সি
জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আর্টিকেলের শুরুতেই আলোচনা করবো। জমজমের পানি পান করার নিয়ম হচ্ছে দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হয়ে তিন নিশ্বাসে আল্লাহর নাম নিয়ে পানি পান করা। এভাবে পানি পান করা সুন্নত। তিরমিজি শরীরের একটি হাদিসে ইবনে আব্বাস (রা:)বলতেন যে, নবীজি সবসময় জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করতেন। মুহাদ্দিসগণ আরো বলেন যে, জমজমের কূপের কাছে প্রচুর জনসমাগম থাকার কারণে মানুষের কষ্ট যাতে কিছুটা লাঘব হয় সেজন্য মহানবী দাঁড়িয়ে পানি পান করতেন।
তবে কেউ যদি বসা অবস্থায় পানি পান করে তাহলে কোনো পাপ হবে না।কারণ হচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে যেমন পানি পানের বৈধতা রয়েছে ঠিক তেমনি বসেও পানি পান করার বৈধতা রয়েছে। মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান জমজমের পানি পান করা সম্পর্কে বলেন যে , আমি যখন ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে বসা ছিলাম ঠিক সেই সময়ে তাঁর কাছে এক ব্যাক্তি এসেছিলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন যে সে কোথা থেকে এসেছে তখন ব্যাক্তিটি বলল যে সে জমজমের কাছ থেকে এসেছে।তাপর আব্দুল রহমান আবার জিজ্ঞেস করেন, যে সে জমজম থেকে প্রয়োজনমতো পানি পান করেছে কি না।
তখন লোকটি বলল যে সে কিভাবে পানি পান করবে। তারপর তিনি বলেন যে সে যেনো জমজম থেকে পানি পানকালে কিবলামুখী হবে, আল্লাহর নাম তিনবার স্মরণ করে, তিনবার নিশ্বাস নিয়ে, তৃপ্তিসহকারে কিবলামুখী হয়ে পান করে । পানি পান করা শেষে যেনো মহামহিম আল্লাহর ভূয়সী প্রশংসা করে। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে মুনাফিক ও আমাদের মধ্যে প্রার্থক্যের নিদর্শন হচ্ছে মুনাফিকরা জমজমের পানি তৃপ্তিসহকারে পান করে না।এটি (ইবন মাজাহ) থেকে বর্নিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম ২০২৪
জমজমের পানি কোথায় পাওয়া যায়
জমজমের পানি কোথায় পাওয়া যায় তা আর্টিকেলের এই অংশে জানতে পারবেন। জমজম কূপ সৌদি আরবের মক্কায় মসজিদুল হারামের ভিতর অবস্থিত। জমজমের পানি একমাএ সৌদি আরব ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় না। প্রতিবছর হজযাত্রীরা জমজমের পানি পান করতে পারে। হজযাত্রীরা প্রতিবছর ৫ লিটারের বাক্স দিয়ে জমজমের পানি নিয়ে আসে।মূলত জমজমের পানি পাওয়ার জন্য হয়তো মক্কাতে যেতে হবে নয়তো কেউ যদি হজ করতে যায় তার মাধ্যমে পেতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
জমজম পানির দাম কত
জমজম পানি আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত সমৃদ্ধ পানি। পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বরকতময় পানি হচ্ছে জমজমের পানি। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, জমজমের পানি কোনো ব্যাক্তি যে নিয়তে পান করবে সেই নিয়তই পূরণ হবে। যেমন -কেউ যদি রোগমুক্তির জন্য পান করে তাহলে সে দ্রুতই আরোগ্য লাভ করবে। ইসলামি শরিয়তের মতে জমজমের পানি বহন করে বাড়িতে বা দেশে নিয়ে আসার বিধান রয়েছে।এই পানি ক্রয় বিক্রয়ও করা যায়। এমনকি আরব দেশের বিভিন্ন দোকানেও জমজমের পানি কিনতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে জমজমের পানির দাম বেশি। কারণ এই পানি ইম্পোর্ট করতে বিমান খরচ, সরকারি ভ্যাট ও ট্যাক্স দিতে হয়। জমজম পানির দাম মূলত নির্ভর করে থাকে দোকানদারের উপর৷ একেক দোকানদার একেক রকম করে দাম করে থাকে।
জমজম কূপ দ্বিতীয় বার কে খনন করেছিলো
জমজম কূপ মূলত সৃষ্টি হয়েছিলো হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালামের পায়ের আঘাতে। সৃষ্টি হওয়ার পর বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং গোএ নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। এসময় মক্কা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পায় জুরহুম নামে একটি গোএ।পরবর্তীতে খুজাআ নামের আরেকটি গোএ মক্কায় আক্রমণ করে। আক্রমণের কারণে জুরহুম গোএ মক্কা থেকে পালিয়ে যায়। গোএটি যখন পালিয়ে যায় ঠিক তখন তারা জমজম কূপের মূখ ঢেকে দিয়ে যায় যাতে করে মক্কার মানুষজন স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে না পারে এবং পানি পান করতে না পারে।যাওয়ার সময় তারা কাবার ভিতরে সোনা দানাও লুকিয়ে রেখে যায়।
দীর্ঘদিন এভাবে সংস্কার করার অভাবে জমজম কূপের স্থান একবারে মাটিতে ভরাট হয়ে যায়। একসময় তা মাটির নিচে চাপা পড়ে। তখন মানুষ প্রায় কূপটির কথা ভুলে যায়। এসময় হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাদা আব্দুল মুত্তালিব জমজম কূপ খনন করার কাজে এগিয়ে আসেন। আব্দুল মুত্তালিব কুরাইশদের বংশ প্রদান হওয়ার কারণে আরবের লোকেরা তাকে খুবই সম্মান করতো।
একদিন আব্দুল মুত্তালিব স্বপ্নে দেখেন যে তাকে জমজম কূপ খনন করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে এবং তাকে জায়গাও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ঘুম ভাঙার পর স্বপ্নের বিষয়টি নিয়ে তিনি অনেকবার ভাবতে থাকেন এবং বড় পুএ হারিসকে দিয়ে কূপ খনন করার কাজ শুরু করে দেন। জমজম কূপ খনন করার সময় তিনি সেখান থেকে বেশ কিছু জিনিসপত্রও পেয়েছিলেন যেমন -দুইটি সোনার হরিণ, লৌহবর্ম এবং তলোয়ার। পরবর্তীতে তিনি তলোয়ার দিয়ে কাবা ঘরের দরজা ডালাই করেন এবং সোনার হরিণ দুইটিকে দরজার সঙ্গে সন্নিবেশিত করে রেখে দেন। সুতরাং বলা যায় যে, জমজম কূপ দ্বিতীয়বার আব্দুল মুত্তালিব খনন করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
জমজমের পানি দিয়ে গোসল করা যাবে কি
আর্টিকেলের এই অংশে পড়তে পারবেন জমজমের পানি দিয়ে গোসল করা যাবে কি? এই সম্পর্কে। জমজমের পানি হচ্ছে পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট সুপেয় পানি। এই পানি আল্লাহর বিশেষ নিদর্শন। জমজমের পানি পান করা ছাড়া অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে কিনা তা নিয়ে আলেমদের অনেক অভিমত লক্ষ্য করা যায়। তবে অধিকাংশ আলেমদের মতে পান করা ছাড়াও প্রয়োজনীয় যেকোনো কাজে জমজম কূপের পানি ব্যবহার করা যাবে। যেমন গোসল করা, ওযু করা, রান্নাবান্না করা ইত্যাদি।
যেহেতু জমজমের পানি বরকতময়, সম্মানের প্রতীক তাই অনেক আলেমগণ এই পানি দ্বারা গোসল করা বা নাপাকি পরিষ্কার করাকে অপছন্দ করতেন। এ কথা আমরা জানি যে পবিত্র মক্কা নগরীতে হযরত জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ডানার আঘাতে জমজম কূপের সৃষ্টি হয়। এবং এই কূপকে কেন্দ্র করে এর আশেপাশে মানুষ বসবাস স্থাপন করতে শুরু করে।
সেই সময় থেকে নবী-রাসূলগণসহ এই কূপের আশেপাশে বসবাস করা মানুষজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, রান্নাবান্না, ধৌত করা, ওযু- গোসল করা সবকিছুতে জমজম কূপের পানি ব্যবহার করতেন। এসম্পর্কে আল কুরআনের সূরা মায়িদাহতে আল্লাহ তায়ালা বলেন যে যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে পানি দ্বারা পবিত্র হয়ে নাও। সকল পবিএ পানিই এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। জমজমের পানিও এর বাইরে নয়। সুতরাং এই থেকে বলা যায় যে, জমজমের পানি দিয়ে গোসল করা যাবে।
জমজম কূপ কে আবিষ্কার করেছিলেন
বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম সক্রিয় কূপ হিসেবে মনে করা হয় জমজম কূপকে। এই কূপটি কাবা ঘর থেকে ২০ মিটার দূরে অবস্থিত । বিগত ৫ হাজার বছর থেকে এই কূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে। নবী ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর পুত্র ইসমাইল আলাই সাল্লাম এর পায়ের আঘাতে এই কূপ সৃষ্টি হয়েছে বলে ইসলামে বর্ণিত রয়েছে। দ্বিতীয়বার জমজম কূপ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব খনন করেছিলেন। তিনি তার স্বপ্নে দেখা নির্দেশনা অনুযায়ী জমজম কূপ খনন করা শুরু করেন এবং আবিষ্কার করতে সক্ষম হন।
মাসিকের সময় জমজমের পানি পান করা যাবে কি
জমজমের পানি হচ্ছে শেফা যা কেউ যদি আরোগ্য লাভের উদ্দেশ্যে পান করে তাহলে সে রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাবে। অনেকেই জিজ্ঞেস করে যে মাসিকের সময় জমজমের পানি পান করা যাবে কি না। উওরটি হচ্ছে মাসিকের সময় জমজমের পানি পান করা যাবে।মাসিক অবস্থায় জমজমের পানি পান করলে কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না।
জমজমের পানি গরম করা যাবে কি
জমজমের পানি অবশ্যই গরম করা যায় এবং পানি গরম করার ফলে পানির গুগগত মানে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না। জমজমের এই পানি গরম করা যায়, রান্নাবান্না করা যায়, খাওয়া যায়, গোসল করা যায়। গরম করার ফলে জমজমের পানির ফজিলত বা গুনগুন নষ্ট হয় না। সুতরাং বলা যায় যে,জমজমের পানি গরম করা যাবে।
জমজমের পানি কি দাঁড়িয়ে খেতে হয়
জমজমের পানি কি দাঁড়িয়ে খেতে হয়? এই প্রশ্নটি নিয়ে সবাই অনেক কনফিউশনে থাকে যে আসলে দাঁড়িয়ে পান করবো নাকি বসে পান করবো। বলে রাখা ভালো যে, জমজমের পানি দাঁড়িয়ে এবং বসে দুইভাবেই পান করার জায়েজ রয়েছে। ভিড় না থাকলে আসলে জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করতে হবে একথার তেমন কোনো ভিত্তি নেই। তবে দাঁড়িয়ে পান করলে নবিজীর সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। বসে পান করলেও গুনাহ হবে না।
জমজমের পানির সাথে নরমাল পানি মেশানো যাবে কি
জমজমের পানির সাথে নরমাল পানি মেশানো যাবে। তবে যেটুকু জমজমের পানি মেশানো হবে ঠিক ততটুকুই ফজিলত পাওয়া যাবে। যেমন -এক জগ পানিতে যদি এক গ্লাস জমজমের পানি মেশানো হয় তাহলে সম্পূর্ণ জগের পানি জমজমের পানি হয়ে যাবে না। এক্ষেত্রে আপনি এক জগ সম্পূর্ণ পানি পান করলেও শুধুমাত্র যেটুকু জমজম মিশিয়েছেন সেটুকুর ফজিলত পাবেন। জমজমের সাথে জমজম নয় এমন কোনো পানি মেশালে বিশেষ কোনো উপকারিতা পাওয়া যাবে না।তারপরও আমাদের সমাজের মানুষ এটা করে থাকে।
এক্ষেত্রে একটি জায়গায় আপওি রয়েছে সেটা হচ্ছে আপনি যদি কাউকে জমজমের পানি হাদিয়া দেন এবং বলেন যে এটা জমজমের পানি। অথচ সেখানে জমজমের চেয়ে নরমাল পানি বেশি রয়েছে বা আপনি মিশিয়ে দিলেন। তাহলে এটা বড় ধরনের একটি প্রতারণা হবে। জমজমের পানির সাথে নরমাল পানি মেশালে যৌক্তিক কোনো লাভ নেই। ক্ষেএবিশেষে তা প্রতারণার বিষয় থাকতে পারে। এক্ষেত্রে গুনাহ হতে পারে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
জমজমের পানি দিয়ে মুখ ধোঁয়া যাবে কি
জমজমের পানি ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং অত্যন্ত পবিত্র পানি। জমজমের পানি শরীরের কোনো স্থানে লাগানো, গোসল করা, ওযু করা জায়েজ। মুখ ধোঁয়ার উদ্দেশ্যে জমজমের পানি ব্যবহার করা যাবে। তবে অবশ্যই সম্মানের সহিত রাখতে হবে। জমজমের পানিকে অযথা নষ্ট করা বা অবহেলা করা উচিত নয়।
জমজম পানি খাওয়ার দোয়া
নবিজি বলেছেন যে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হচ্ছে জমজমের পানি।জমজমের পানিতে রয়েছে খাদ্যের গুনগুন এবং বৈশিষ্ট্য। জমজমের পানি পান করার সময় যে দোয়াটি পড়া উচিত তা হলো :
বাংলায় উচ্চারণ :
আল্লাাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান না ফি‘আ ওয়া রিযক্বন ওয়া সি‘আ ওয়া শিফা আম মিন কুল্লি দা ইন।
সুতরাং বলা যায়, জমজম পানি খাওয়ার সময় উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করুন।
জমজমের পানি কতদিন রাখা যায়
জমজমের পানি কতদিন রাখা যায় এই প্রশ্নটি অনেকেই জানতে চায়। জমজমের পানি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় এবং গুনাগুন অক্ষুণ্ণ থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, জমজমের পানিতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান এবং খনিজ পদার্থ পানিকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করে। এজন্য এই পানিকে সাধারণ পানির মতো রাখলেও অনেক বছর পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য করা যায়। তবে পানি সংরক্ষণ করার সময় কিছু বিষয় লক্ষ্য করা উচিত। যেমন- পানিতে কোনো ময়লা পড়তে দেওয়া উচিত নয় এবং ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে পানিকে সংরক্ষণ করা উচিত যাতে পানিতে সূর্যের আলো না পৌঁছাতে পারে। তাছাড়াও জমজমের পানিকে পরিষ্কার পাএে রাখা উচিত।
মন্তব্য :
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম, জমজমের পানি কোথায় পাওয়া যায়, জমজম পানির দাম কত,জমজম কূপ দ্বিতীয় বার কে খনন করেছিলো, জমজমের পানি দিয়ে গোসল করা যাবে কি, জমজম কূপ কে আবিষ্কার করেছিলেন,মাসিকের সময় জমজমের পানি পান করা যাবে কি,জমজমের পানি গরম করা যাবে কি, জমজমের পানি কি দাঁড়িয়ে খেতে হয়, জমজমের পানির সাথে নরমাল পানি মেশানো যাবে কি, জমজমের পানি দিয়ে মুখ ধোঁয়া যাবে কি,জমজম পানি খাওয়ার দোয়া,জমজমের পানি কতদিন রাখা যায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে নতুন কিছু জানতে পেরেছেন। আর্টিকেল সম্পর্কে আমপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট করতে ভুলবেন না। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট My Teach Info। ধন্যবাদ।
My Teach Info এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url