ডায়রিয়া হলে করণীয় কি? জেনে নিন

ডায়রিয়া হচ্ছে একটি পানিবাহিত রোগ। গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল এই সমস্যাটি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। ডায়রিয়া হলে করণীয় কি হতে পারে এটি একটি কমন প্রশ্ন। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে ডায়রিয়া হলে করণীয় কি?এই বিষয়ে আলোচনা করবো। কাজেই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

ডায়রিয়া-হলে-করণীয়-কি

তাছাড়া আরো আলোচনা করবো- ডায়রিয়া হওয়ার কারণ, ডায়রিয়ার লক্ষণ,ডায়রিয়া হলে ঘরোয়া চিকিৎসা, ডায়রিয়া হলে যা করা যাবে না, বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত, ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত, ডায়রিয়া হলে কি ডিম খাওয়া যাবে ইত্যাদি। 

আর্টিকেল সূচিপত্র : ডায়রিয়া হলে করণীয় কি সম্পর্কিত সূচিপত্র 

ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

ডায়রিয়া হলে করণীয় কি তা নিয়ে আর্টিকেলের শুরুতেই আলোচনা করবো। সঠিক চিকিৎসা এবং ডায়রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে ডায়রিয়াতেও মানুষের জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে।
  • ডায়রিয়া হলে যেকোনো মানুষের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবন পানি বের হয়ে যায়। এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলের রস,ডাবের পানি, নরমাল পানি পান করা উচিত। পাশাপাশি ওআরএস স্যালাইন খেতে হবে। 
  • ডায়রিয়া হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।যেকোনো অসুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম আপনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তুলবে। 
  • আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য প্রোবায়োটিকস খাবার যেমন দই খেতে পারেন। 
  • আপনার ডায়রিয়া যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডায়রিয়া হওয়ার কারণ 

অনেক কারণে ডায়রিয়া হতে পারে৷ তবে সম্ভাব্য যেসব কারণে ডায়রিয়া হতে পারে সেগুলো হচ্ছে -
  • পেটে কোনো ধরনের জীবানু প্রবেশ করলে ডায়রিয়া হতে পারে। 
  • খাদ্যে বিষক্রিয়া বা পয়জনিং থাকলে ডায়রিয়া হতে পারে। 
  • ওষুধের প্বার্শপ্রতিক্রিয়া থাকলে ডায়রিয়া হতে পারে। 
  • আইবিএস এর সমস্যা থাকলে ডায়রিয়া হতে পারে। 
  • ভাইরাস জনিত কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। 
  • ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ এর কারণে। 
  • বিভিন্ন পরজীবির আক্রমণে
  • দূষিত পানি গ্রহণ করলে 

ডায়রিয়ার লক্ষণ 

ডায়রিয়া-হলে-করণীয়-কি

ডায়রিয়া এবং পাতলা পায়খানা একই শব্দ। ডায়রিয়া হলে অনেকগুলো লক্ষণ দেখা দেয় যেমন-
  • ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়া, তা হতে পারে তিন বারের বেশি। 
  • মুখ শুকিয়ে যাওয়া। 
  • পায়খানার আগে বা পরে পেট ব্যাথা করা 
  • বার বার পানির তৃষ্ণা পাওয়া 
  • বমি বমি ভাব হওয়া
  • দূর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব করা
  • মলের সঙ্গে শ্লেষা যাওয়া 
সুতরাং বলা যায় যে, ডায়রিয়া হলে উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিবে। 

ডায়রিয়া হলে ঘরোয়া চিকিৎসা 

ডায়রিয়া হলে সাধারণত ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা যায়। ডায়রিয়া হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার ও পানীয় পান করা। প্রতিবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর একটি স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে খেতে হবে। বলে রাখা ভালো যে, পানি যেনো অবশ্যই আধা লিটারের কম না হয়। সেজন্য অবশ্যই আধা লিটার মাপের বোতল বা গ্লাস ব্যবহার করবেন। পানি এর চেয়ে কম হলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিবে যেমন - কিডনি ফেইলিউর।

যদি হাতের কাছে আপনার খাবার স্যালাইন না থাকে তাহলে বাড়িতে থাকা কিছু উপকরণ দিয়ে সহজেই স্যালাইন বানিয়ে নিতে পারবেন। যেমন- এক মুঠ গুড় বা চিনি, এক চিমটি লবন এবং আধা লিটার পানি। অবশ্যই প্রত্যেকবার পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খেতে হবে।যতবার পায়খানা হবে ততবারই স্যালাইন খেতে হবে। 

পাতলা পায়খানা হলে ভাতের মাড়,ডাবের পানি এবং চিড়ার পানি খেতে পারবেন। প্রয়োজন অনুয়ায়ী লবন দিতে পারবেন। এমন অনেক ধারণা আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে যে ডায়রিয়া হলে কাঁচা কলা, সাদা ভাত ছাড়া আর কিছুই খাওয়া যাবে না। এটি একটি ভুল ধারণা। অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ডায়রিয়া হলে চা,কফি,ফলের জুস খাওয়া পরিহার করতে হবে। এগুলো খেলে অবশ্যই ডায়রিয়া আরো বাড়তে পারে।সাধারণত ডায়রিয়া হলে কয়েকদিনের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে যদি পানিশূন্যতা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই তার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। 

পাতলা পায়খানা হলে জিংক ট্যাবলেট অনেক ভালো কাজ করে। আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জিংক ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হবে। ডায়রিয়া হলে পেটে অস্বস্তি  হলে প্যারাসিটামল ওষুধ খেতে পারেন।জরুরি প্রয়োজনে আপনি যদি পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে চান তাহলে লোপেরামাইড জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। তবে অবশ্যই তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে এবং ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। যেসব বাচ্চাদের বয়স ১২ বছরের কম তাদের ডায়রিয়া বন্ধের জন্য ওষুধ দেওয়া যাবে না। 
 

ডায়রিয়া হলে যা করা যাবে না 

আপনার যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। যেমন- অন্যদের জন্য রান্না করা থেকে বিরত থাকা। জামা-কাপড়, গামছা-তোয়ালে,ছুরি-চামচ,থালা-বাসন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনার যদি ডায়রিয়া রোগের লক্ষণ চলেও যায় তারপরও সুইমিং পুল ব্যবহার করা উচিত নয়। 

ডায়রিয়া প্রতিরোধে করনীয়:
ডায়রিয়া হলে অবশ্যই সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া উচিত। বিছানার চাদর অবশ্যই গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।যেসব জিনিস জীবানুর সংস্পর্শে আসবে তা অবশ্যই পরিষ্কার করা উচিত।   

বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত 

বাচ্চাদের ডায়রিয়া হওয়া সবচেয়ে কমন একটি সমস্যা। আপনার বাচ্চার যদি ডায়রিয়া হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চাকে প্রথমে স্যালাইন খাওয়াবেন। একটি এআরএসএ স্যালাইন এক লিটার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াবেন। যতবার পাতলা পায়খানা হবে ততবার স্যালাইন খাওয়াবেন। স্যালাইন একবার তৈরি করে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। বাচ্চা যদি বুকের দুধ খায় তাহলে বাচ্চার দুধ খাওয়া বন্ধ করবেন না। তাছাড়া ডাবের পানি, চিড়ার পানি, লবন গুড়ের পানি, ফলের রস, ভাতের মাড় ইত্যাদি খাওয়াতে পারবেন। 

ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত 

সাধারণত ডায়রিয়া হলে মানুষ ওষুধ খাওয়ার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ সময় ডায়রিয়া হলে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যেহেতু শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবন বেরিয়ে যায় সেজন্য স্যালাইন খাওয়া উচিত। প্রায় সব ক্ষেএেই ডায়রিয়া হলে অল্প সময়েই সেরে যায়। বাজারে ডায়রিয়া রোগের বেশকিছু ওষুধ পাওয়া যায় যা মানুষ কিনে খায় যেমন- সবচেয়ে পরিচিত ডায়রিয়ার ওষুধ হচ্ছে ফাজিল বা মেট্রোনিডাজল। তাছাড়া লপেরামাইড,এজিথ্রোমাইসিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিন ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। সাধারণত ডায়রিয়া এমনি এমনি সেরে যায় তবে ডায়রিয়া হলে যদি এ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
 

গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া হলে করণীয় 

গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়া সাধারণত হয় না, তবে ডায়রিয়া হলে তা অন্যান্য সাধারণ মানুষের যেসব কারণে হয় গর্ভবতীদেরও একই কারণে হতে পারে। তবে আপনি যদি গর্ভাবস্থায়  ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে চান তাহলে বেশি বেশি পানি পান করুন এতে শরীর হাইড্রেট থাকবে। গর্ভাবস্থায় যেসব কারণে ডায়রিয়া হতে পারে সেগুলো হচ্ছে -
  • গর্ভাবস্থায় অনেক বেশি শারীরিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। এসময় বাড়ন্ত জরায়ুর কারণে পেটের উপর চাপ তৈরি হয়। এতে যদি পরিপাকনালীর সকল খাবার চলাচল করতে বাধা তৈরি হয় তাহলে ডায়রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। 
  • গর্ভবতী মায়েদের হঠাৎ করে খাদ্যাভাস পরিবর্তন হতে দেখা যায়। এতে করে নতুন পুষ্টিকর খাবারের জন্য পেটের এনজাইম তৈরি হতে না পারলে বা হজমে সমস্যা তৈরি হলেও ডায়রিয়া হতে পারে। 
  • গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড বা আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে এতে সৃষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। 
  • অতিরিক্ত চা বা কফিজাতীয় খাবার গ্রহণ করলে পেট খারাপ হতে পারে। 
  • ফুড পয়জনিং এর কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। 
ঘরোয়া চিকিৎসা :
  • ডায়রিয়া হলে যেহেতু শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবন বেরিয়ে যায় কাজেই সেই পানিশূন্যতা পূরণ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।সাথে তরলজাতীয় খাবারও খেতে পারেন। 
  • যেসব খাবার সহজে হজম হয়ে যায় এবং পরিপাকতন্ত্রের উপর কোনো প্রভাব ফেলেনা যেমন কাঁচ কলা, সিদ্ধ আলু, সাদা ভাত খেতে পারেন। 
  • প্রতিবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর খাবার স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে খেতে পারেন। 
  • পাতলা পায়খানা হওয়ার পর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। প্রতিবার সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুইতে হবে এবং কাপড় -চোপড় পরিষ্কার করুন।
  • ডায়রিয়া হলে সহজেই কোনো ওষুধ খেতে যাবেন না কেননা অনেক ওষুধের সাইড ইফেক্ট রয়েছে। এজন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।  
ডায়রিয়া-হলে-করণীয়-কি

ডাক্তার দেখানো :
সাধারণত ডায়রিয়া হলে আপনা আপনি সেরে যায় তবে কিছু লক্ষণ দেখা দিলে গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখাতে হবে। যেমন-
  • পেটে বাচ্চার নড়াচড়া কমে গেলে। 
  • শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে 
  • ডায়রিয়া যদি দুই দিনের বেশি স্থায়ী হয়
  • পায়খানার রাস্তায় প্রচন্ড ব্যাথা হলে
  • পায়খানার সাথে রক্ত বের হলে
  • পায়খানার সাথে পুঁজ বের হলে
  • শরীরে যদি পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দেয়।
সুতরাং বলা যায়,ডায়রিয়া হলে উপরোক্ত ব্যবস্থাগুলি আপনি গ্রহণ করতে পারেন। 

ডায়রিয়া হলে কি ডিম খাওয়া যাবে

ডিম হচ্ছে একটি প্রোটিন জাতীয় খাদ্য যা শরীর সহজে গ্রহণ করতে পারে। ডিম যখন খাওয়া হয় তখন অনেকগুলো এনজাইম সাহায্য করে এই প্রোটিনকে ভাঙ্গার জন্য। যেহেতু ডায়রিয়ার সময় একটু বেশিই শরীর দূর্বল হয়ে থাকে এজন্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্য পরিহার করাই উত্তম। 

আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: পাতলা পায়খানা হলে কি ডিম খাওয়া যাবে? 

উত্তর: ডিম প্রোটিন জাতীয় খাবার হওয়ায় পাতলা পায়খানা হলে ডিম না খাওয়াই ভালো। 

প্রশ্ন ২:ডায়রিয়া হলে কি কলা খাওয়া যাবে? 

উত্তর: কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে এবং ডায়রিয়া হলে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। কাজেই কলা খাওয়া যাবে। 

প্রশ্ন ৩: স্যালাইন কত ঘন্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়? 

উত্তর: স্যালাইন ১২ ঘন্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। 

প্রশ্ন ৪: ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত? 

উত্তর: ডায়রিয়া হলে মেট্রোনিডাজল ওষুধ খেতে পারেন তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। 

প্রশ্ন ৫:ওআরএস খেলে কি ডায়রিয়া বন্ধ হয়? 

উত্তর: অবশ্যই। ওআরএস স্যালাইন খেলে ডায়রিয়া বন্ধ হয়৷ 

লেখকের মন্তব্য 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে ডায়রিয়া হলে করণীয় কি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। সবসময় স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করবেন যাতে ডায়রিয়া এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত না হন৷ আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট  My Teach Info। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

My Teach Info এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url